সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫

জলছবি বাতায়ন: শামসুর রাহমানের দু’টি কবিতা

জলছবি বাতায়ন: শামসুর রাহমানের দু’টি কবিতা: তুমি বলেছিলে দাউ দাউ পুড়ে যাচ্ছে নতুন বাজার। পুড়ছে দোকান-পাট , কাঠ , লোহা-লক্কড়ের স্তূপ , মসজিদ এবং মন্দির। দাউ দাউ পুড়ে যাচ্ছ...

বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫

জলছবি বাতায়ন: তুমি আসবে বলে আয়নাল হক

জলছবি বাতায়ন: তুমি আসবে বলে: আয়নাল হক তুমি আসবে বলে ভেঙ্গে গেল সাজানো বাগান তুমি আসবে বলে জনসমুদ্রে উঠেছিল ব্যাপক স্লোগান। তুমি আসবে বলে কালবৈশাখী ঝড় উঠেছিল মনে।...

বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আনচানতাইইতো প্রাণ


আনচান তাইতো প্রাণ
================
যেতে পারি না বাহিরে বন্ধ দুয়ার
খুলে
যেতে পারিনা ধানেরক্ষেতে
সবুজের ঢেউ তুলে
গাইতে পারিনা গান
উড়তে পারিনা খোলা হাওয়া মাঝে
ঘুড়তে পারিনা সকাল সন্ধা সাঝে
আনচান তাইতো প্রাণ
দেখতে পারিনা কেমনে ফুলের কলি
ফুটে
দেখতে পারিনা সকালে -সূর্য
কেমনে উঠে
বান্ধী ঘরে তাই
শুনতে পারিনা পাখি গায় কেমনে
গান
বুঝতে পারিনা কোন ডাকে জুড়াবে
মোর প্রাণ
কাগজে লিখে যাই

মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আমারই হৃদয়ে মোহাম্মদ আয়নাল হক


নিতান্তই কিছু সহজ কথা তবুও বলতে পারিনি
যদি ভুল বুঝ কখনো,
তোমার চোখ আছে -দেখনা কান আছে -শুননা।
হৃদয় আছে-অনুভব করনা আমি বললেই যে
সহজ কথায় মেনে নেব এই গ্যারান্টি কে দেবে
তুমি হৃদয়হীন নও তুমি বিবেকহীন নওতবে কেন
কিছু বুঝতে পারনা নাকি বুঝেও _আমার নিরবে বলা কথা গুলো প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে এলো
আমারই হৃদয়ে

শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৫

বৃষ্টি বষণমুখর রাত্রি


বৃষ্টি বিধৌত পথের দুপাশে পানি
জমেছে
আশে পাশের ডোবা লাল ওটই টুম্বর
হয়েছে
নিজ্ন পথ জন মানবের নেই চিত্রমাত্র
সারাদিন বৃষ্টির পড়ে নেমে এলো
রাত্র
জানালা থেকে এবার পড়ার
টেবিলে এলাম
দু-একটা বই নেড়ে চেয়ে এদিক-ওদিক
নিলাম
থেকে থেকে দমকা হাওয়া ঘরে
ঢুকছে
গুরু গুরু শব্দে আমার বুকটা কাঁপছে
উন্নানা মন আমার অধীর আকুলতায়
মেঘের রথে চড়ে কোথায় ভেসে যায়
ঝলছে উঠছে বিজলী অন্ধকার ভেত
করে
ব্যাঙের অবিশ্রান্ত ডাকে থাকতে
পারিনা ঘরে
সেই রাতে পাই এক বিস্ময়কর অনুভূতি
বড় পাতিলে রেখেছিলাম
জেনেসিনের বাতি
মেঘের মাদল তখনো বেজে চলছে
কত গান কত যে সুর আজ মনে পড়ছে

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৫

তার মানে এই নয়


আমি বৃষ্টি ভালোবাসি
তার মনে এই নয় আমাকে ভিজতে হবে
আমি সাগর ভালোবাসি
তার মানে এই নয় আমাকে নামতে হবে
আমি ফুল ভালোবাসি
তার মানে আমাকে কাটার আঘাত
পেতে হবে
আমি পাহার ভালোবাসি
তার মানে এই নয় আমাকে উঠতে হবে
আমি স্বপ্ন ভালোবাসি
তার মানে এই নয় আমাকে ঘুমাতে হবে
আমি চাঁদ ভালোবাসি
তার মানে এই নয় আমাকে ছুতে হবে
আমি শিশির ভালোবাসি
তার মানে এই নয় পা ভেজাতে হবে
আমি তোমাকে ভালোবাসি
তাই বলে এই নয় একসাথে চলতে হবে
২৯/৮/০১৫

শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৫

সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০১৫

Aynal http://aynalvai.blogspot.com/2015/03/aynal.html

Aynal

আয়নাল http://aynalvai.blogspot.com/2015/03/blog-post.html প্রেম করে - এমন বন্ধুর
কাছে সিঙ্গেল বন্ধুদের চিরায়ত
জিজ্ঞাসা- 'ফোনে কী এত
কথা বলিস? এত কথা পাস কই?'
প্রফ-পরবর্তি এই ছুটিতে বসে অনেক
পুরানো এই প্রশ্নের উত্তর খুজে বের
করার চেষ্টা করলাম।
প্রসঙ্গ - ভাত খাওয়া
ভাত খাওয়া একটি জরুরী বিষয়। ভাত
খাওয়া বিষয়ে আধা ঘন্টা কথা না বললে সে প্রেম
টিকেনা বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করে থাকেন।
ভাত খাওয়া বিষয়ক আলাপ শুরু হয়
সাধারণত রাত ১২টায়। কথোকথনের
ব্যাপ্তি প্রেমের বয়সের উপর নির্ভর
করে। প্রেম যতো নতুন প্রেমে ভাত
খাওয়া ততো বেশি। গড়ে ধরলাম সময়
আধা ঘন্টা।
কথোপকথনের নমুনা -
মেয়ে - এই ভাত খাইছো?
ছেলে - হু খাইলাম মাত্র। তুমি?
মেয়ে - নিজে তো খেয়ে ফেলছো।
আমার খবর নিয়ে কী হবে?
ছেলে - সরি। ভুল হয়ে গেছে।
সমস্যা নেই। প্রয়োজনে আবার খাবো।
মেয়ে - আর লাগবেনা। আমি তোমার
কে? আমার সাথে আর খেতে হবেনা।
ছেলে - এইভাবে বলোনা।
মেয়ে - কোনভাবে বলবো?
খেয়ে খেয়ে দিন দিন সাইজ গোল
হয়ে যাচ্ছে সে খবর রাখো?
ছেলে - গোলগাল হওয়া তো ভালো।
আদর করার যায়গা বাড়বে...
মেয়ে - অসভ্য কোথাকার।
... এভাবে চলে আধা ঘন্টা।
প্রসঙ্গ - মাথা ব্যাথা
চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায়
দেখা গেছে,
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মাথাব্যাথা করে প্রেমিকাদের।
প্রেমিক-প্রেমিকারা প্রতিদিন এই
ব্যাথা নিয়ে সাধারণত
আধাঘন্টা আলাপ করতে থাকেন।
কথোপকথনের নমুনা-
ছেলে - এই কথা বলতেছো না কেন?
শরীর খারাপ?
মেয়ে - হ্যাঁ, মাথাটা না খুব
ব্যাথা করতেছে।
ছেলে - বলো কী? আগে বলবা না?
মেয়ে - এই জানো? আমার
পাশে ৩০টা প্যারাসিটামল আছে।
খেয়ে ফেলি?
ছেলে - পাগলামী করবা না।
মেয়ে - না খাচ্ছি। আর সহ্য হয়না।
মরে যাবো এই ব্যাথায়।
ছেলে - আমি মাথা টিপে দিচ্ছি।
কমে যাবে।
মেয়ে- না প্যারাসিটামলই খাবো।
৩০ টা।
ছেলে - আমার কসম, প্রেমের কসম।
তুমি ঐ প্যারাসিটামলে হাত
দিবা না।
মেয়ে - হাত দিলে কী করবা?
ছেলে - তোমার হাত ধরে ফেলবো।
আর ছাড়বোনা।
মেয়ে - হিহিহি
... এভাবে চলে ১২টা ৩০
থেকে ১টা পর্যন্ত।
প্রসঙ্গ - সুইটি
সূত্রানূযায়ী প্রতিটা ছেলেরই
একটি সুন্দরী ক্লাসমেট থাকে।
সাধারণত তার নাম হয় সুইটি টাইপ কিছু।
যে প্রেমে সুইটি নেই, সেই
প্রেমে সুইটনেস নেই
বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। এই
সুইটি নিয়ে প্রতিদিন এ
ঘন্টা ঝগড়া করা প্রেমের
একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
কথোপকথনের নমুনা -
মেয়ে - ফেইসবুকে তোমার
ছবিতে সুইটি লাইক দিছে ক্যান?
ছেলে - আমার ছবিতে লাইক দিছে,
আমার কী দোষ?
মেয়ে - আমি বলছি তুমি ঐ
মেয়েকে ব্লক করবা। আমার
কথা শুনছো তুমি?
ছেলে - আমার ক্লাসমেট, ব্লক
করবো কেমনে?
মেয়ে - ওকে ফাইন, তুমি সুইটি নিয়েই
থাকো। লাইক দেও। আরো অনেক কিছু
দাও। আমাকে তোমার কী দরকার?
রাখলাম ফোন। আর
জীবনে আমারে ফোন দিবানা।
এভাবে চলে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
তারপর ১৫ মিনিট 'মধ্যান্নভোজের
বিরতী'। এই ১৫
মিনিটে বয়ফ্রেন্ডরা গার্লফ্রেন্ডের
ফোনে ফোন দিয়ে যায়। দুজনে এর
মধ্যে যার যার ফেইসবুকের
নোটিফিকেশন চেক করে ফেলেন।
পানি খান। ওয়াশরুম
থেকে ঘুরে আসেন।
গার্লফ্রেন্ড ফোন উঠান ১টা ৪৫
মিনিটে। সুইটি বিষয়ক ঝগড়ার
বাকি অংশ চলে রাত ২টা ৩০ মিনিট
পর্যন্ত।
প্রসঙ্গ - খেলাধুলা
সারাবছর
কোনো না কোনো খেলা চলেই।
বিশ্বকাল, ফুটবল লীগ,
এটাসেটা নানান কিছু। প্রেমিক
প্রেমিকারা সাধারণত প্রতিদিন
খেলাধুলা নিয়ে আধাঘন্টা কথা বলে থাকেন।
কথোপকথনের নমুনা -
ছেলে - কালকের খেলাটা দেখছো?
মেয়ে - হু।
ছেলে - সেকেন্ড হাফে মেসির
খেলা দেখছো?
মেয়ে - হু।
ছেলে - দুইটা গোলই খুব সুন্দর
ছিলো না?
মেয়ে - হু।
ছেলে - তিনটা গোল হতে পারতো।
মেয়ে - হু।
ছেলে - কিন্তু
রেফারি বলদটা অফসাইড
দিয়ে দিলো।
মেয়ে - একদম ঠিক বলছো। ওটা মোটেও
অফসাইড ছিলোনা।
আমি ক্রিকইনফোতে দেখেছি। এই
যায়গায় মেসি না হয়ে বিরাট
কোহলী হলে দেখতা ঠিকই
রেফারি গোল দিয়ে দিতো।
ফিফা তো চলেই ইন্ডিয়ার কথায়।
আচ্ছা বাবু, এখানে থার্ড আম্পায়ার
কিছু বললোনা কেন?
এভাবে চলে রাত ৩টা পর্যন্ত।
রাত চারটা পর্যন্ত চলে কথোপকথনের
বাকি অংশ।
এই অংশে নানান কিছু থাকে। যেমন -
কেন মেয়েটি 'আই হেট পলিটিক্স',
মেয়েটির ফ্রেন্ডের নতুন বয়ফ্রেন্ড
কতোটা খ্যাত,
ভার্সিটি ক্যান্টিনের গতকালের
সিংগাড়ায় কেন গতকাল লবন
বেশি ছিলো, ছেলেটি কতোদিন পর
সিগারেট একদম ছেড়ে দেবে,
মেয়েটির গালের তিলটি কেন
এতো পারফেক্ট, ছেলেটিকে কীরকম
টিশার্টে ভালো মানায়...
ইত্যাদি ইত্যাদি।

মঙ্গলবার, ১০ মার্চ, ২০১৫

আয়নাল

ইচ্ছা -আহসান হাবীব
মনারে মনা কোথায় যাস?
বিলের ধারে কাটব ঘাস।
ঘাস কি হবে?
বেচব কাল,
চিকন সুতোর কিনব জাল।
জাল কি হবে?
নদীর বাঁকে
মাছ ধরব ঝাঁকে ঝাঁকে।
মাছ কি হবে?
বেচব হাটে,
কিনব শাড়ি পাটে পাটে।
বোনকে দেব পাটের শাড়ি,
মাকে দেব রঙ্গিন হাঁড়ি

বৃহস্পতিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

তাঁরা কিভাবে লিখতেন | টুন টুন টিন টিন | কালের কণ্ঠ

তাঁরা কিভাবে লিখতেন | টুন টুন টিন টিন | কালের কণ্ঠ

মনের কিছু অনুভূতি : আমি লেখিকা হতে চাই !!!

মনের কিছু অনুভূতি : আমি লেখিকা হতে চাই !!!: গত চার পাঁচ দিন ধরে ভয়ঙ্কর কষ্ট হচ্ছে । নিজের উপর খুব রাগও লাগছে , কেন সময়ের কাজ সময়ে করা হয় না তাই ভেবে । প্রথম আলো ব্লগ সংকলন- একুশ...

সোমবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

ব্লগার


গণমাধ্যমের প্রধান বাহন হিসেবে মানুষের মধ্যে এর গুরুত্ব, গ্রহণযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংবাদপত্রের গমন , বিচরণ এবং পরিধিও বাড়ছে। মানুষ যত শিক্ষিত এবং সচেতন হচ্ছে ততই সংবাদপত্রের ব্যবহার বাড়ছে। সংবাদপত্রের বিচরণ ক্ষেত্র ক্রমশ নগর থেকে শহর, শহর থেকে উপশহর , মফস্বল শহর এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামে- গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়ছে। সকালের সংবাদপত্র দুপুর, বিকেল , রাত এমনকি একদিন পরে গেলেও মানুষ আগ্রহ নিয়ে পড়ে। আমাদের বাংলাদেশের চেয়ে অন্যান্য দেশে সংবাদপত্র পড়ার জনসংখ্যার হার অনেক বেশী। সুতরাং বলা যায় , দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে সংবাদপত্র। এটি গণমাধ্যমের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী বাহন। কারণ সংবাদপত্রের মাধ্যমেই গোটা বিশ্বের সাথে আমাদের পরিচয় ঘটে। সংবাদপত্র পুরো পৃথিবীটাকেই আমাদের ঘরের এবং মনের কাছাকাছি এনে দেয়। সংবাদপত্রের মাধ্যমেই আমরা ঘরে বসে গোটা বিশ্বকে অবলোকন করি। এজন্য সংবাদপত্র ছাড়া আধুনিক বিজ্ঞান ও সভ্যতা অচল। সংবাদপত্র হচ্ছে সমাজের দর্পণ। প্রতিদিন সমাজে যা কিছু ঘটে তাই পত্রিকার পাতায় সাজানো হয়। তাই বলা যায় , সমাজের মানুষের নিজেদের খবর, প্রাত্যহিক ঘটনাবলী প্রভৃতি সর্ম্পকে ধারণা অর্জন করতে ছুটে যায় পত্রিকার পাতায়। মানুষ তাদের নিজেদের সমাজের ঘটনা সংবাদপত্রের পাতায় দেখে চমৎকৃত হয়, সচেতন হয় ও শিক্ষা নেয়। সামাজিক , অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক , বিনোদন ও সাংস্কৃতিক খবরসহ জাতীয়, আঞ্চলিক, আর্ন্তজাতিক নানাবিধ তথ্য খবরাখবর মানুষ সংবাদপত্র থেকে সংগ্রহ করে থাকে। এছাড়া সংবাদপত্রের বিরাট অংশ জুড়ে থাকে বিজ্ঞাপন। এটিও মানুষের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। চাকরি, ক্রয়-বিক্রয় , পড়াতে চাই , পাত্র-পাত্রী চাই, হারানো বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদি অসংখ্য বিজ্ঞাপন আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থারই প্রতিচ্ছবি। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আঝে, “A newspaper is a store house of knowledge.’’ অর্থাৎ সংবাদপত্র হচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডার। রাজনৈতিক উত্থান-পতন ও যুদ্ধ- বিগ্রহের বর্ণনা থেকে শুরু করে বিদ্রোহ, বিপ্লব , প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্র সব কিছুই এর আওতায় পড়ে। কোথায় কোন মন্ত্রীসভা পুর্নগঠিত হলো, নতুন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে কে শপথ নিলেন, কোথায় কে বিশ্ব বিখ্যাত হলেন , কোন পবর্তচূড়ায় কোন অভিযাত্রীর পদচিহ্ন অংকিত হল, কোথায় কোন নেতা মৃত্যুবরণ করল , কোথায় কোন গহীন অরণ্যে কোন প্রাণীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেল সংবাদপত্র সবই আমাদেরকে অবহিত করে। তাছাড়া খেলাধূলা, আইন- আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য , খুন-জখম , চুরি-ডাকাতি, আমোদ-প্রমোদ , শেয়ার মাকের্ট , বাজারদর , কর্মখালী, টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদি সবকিছু সংবাদপত্র আমাদের সামনে উপস্থিত করে। সমাজে সংবাদপত্রের প্রভাব অসামান্য। একটি পত্রিকা একটি প্রতিষ্ঠান হতে পারে। হতে পারে একটি আন্দোলন। সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন , অন্যায় অপরাধ , দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন , নারী বৈষম্য ইত্যাদি বিষয়ে সংবাদপত্র জনগণকে সচেতন করে তুলে। একটি পত্রিকা একটি শক্তিশালী আদর্শ হিসেবে বিবেচিত। পত্রিকার বিপুল সংখক পাঠক ও আদর্শের অনুসারী হতে পারে। বর্তমান বিশ্বের সকল শ্রেণীর লোকের নিকট সংবাদপত্র পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম। পৃথিবীতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের যতগুলো মাধ্যম আছে তার মধ্যে সংবাদপত্রই সর্বশ্রেষ্ঠ। সংবাদ শিক্ষিত মানুষের নিকট আহার নিদ্রার মতোই প্রয়োজনীয়। সংবাপত্র পাঠ না করলে মানুষের জ্ঞান ও শিক্ষা পরিপূর্ণ হতে পারে না। পুস্তকের শিক্ষা অপর্যাপ্ত ও সীমাবদ্ধ আর সংবাদপত্রের শিক্ষা পরিপূর্ণ, বিচিত্র ও নিত্য নতুন। সংবাদপত্র পাঠ ছাড়া বর্তমান বিশ্বের সব খবরাখবর জানার কোন উপায় নেই। বর্তমানে আমাদের দেশে সংবাদপত্রের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অনেক সময় সরকারি নিয়ন্ত্রণ কিংবা তথাকথিত গডফাদারদের হুমকি , সাংবাদিকদের নিরাপত্তাহীনতা ইত্যাদি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। আবার অনেক পত্রিকার বিরুদ্ধে অভিযোগও রয়েছে। কোন কোন পত্রিকা বিশেষ কোন দল, আদর্শ কিংবা রাজনীতিকে সমর্থন করে কিংবা সরকারের তোষামোদী করে। ফলে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। তারা স্বেচ্ছায় বস্তুনিষ্ঠতা এড়িয়ে যায়। কিন্তু সংবাদপত্রের মূল আদর্শ হওয়া উচিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন। সংবাদপত্র হতে হবে জনসাধারণের অতন্দ্র প্রহরী। জনগণের স্বার্থে সংবাদপত্র যেমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে, তেমনি ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্যও করবে সংগ্রাম। ক্ষুদ্র স্বার্থ চিন্তা বিসর্জন দিয়ে দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণ কামনায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। বাংলাদেশের মত একটি গণতান্ত্রিক দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আশানুরূপ নয়। এখানে ক্ষমতাসীন প্রতিটি সরকারই স্বীয় দলীয় স্বার্থে সংবাদপত্রের উপর আধিপত্য বিস্তারের অপচেষ্ঠায় লিপ্ত থেকে বার বার সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করেছে। বিশেষ করে স্বাধীনতার পর তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে যেভাবে হরণ করে তার পুনরাবৃত্তি ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত স্বৈরচারী এরশাদ সরকারের আমলেও হয়। যে কোন ব্যাপারেই পত্রিকার ঘোষণাপত্র বাতিল করার মত নিন্দনীয় আইন এখনও আমাদের দেশে বলবৎ আছে। বর্তমান সরকারের আমলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই বললেই চলে। গত পাঁচ বছরে বর্তমান সরকার বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারের স্কাইপি ক্যালেঙ্কারি ফাঁস করে বন্ধ হল আমারদেশ পত্রিকা , হেফাজতের উপর বর্বরোচিত গণহত্যার ক্যালেঙ্কারি ফাঁস করে বন্ধ হলো দিগন্ত ও ইসলামী টেলিভিশন। সাতক্ষীলায় ভারতীয় বাহিনীর তান্ডবের ফ্যাক্স ক্যালেঙ্কারি ফাঁস করে বন্ধ হল ইনকিলাব। যা জাতির জন্য শুভকর নয়। তাই অচিরেই সংবাদপত্রকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া দরকার। এজন্য সরকারের উদার ও সহিষ্ণু নীতি থাকা প্রয়োজন। তাছাড়া সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য সরকার ও সংবাদপত্রের প্রকাশকদের আন্তরিক হতে হবে। ফলে সংবাদপত্র হয়ে উঠবে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংব

বৃহস্পতিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫


ভাষা আমার মায়ের তুল্যভাষা আমার হৃদয়।তোমার তরে শিখেছি বলাতোমার তরে মাঁ।।বাঙালী আমার পরিচয় গো মাঁবাংলা আমার গৌরব।।তোমার তরে কত জীবন দিলাআছে তা প্রমাণ বরাক ও বাংলায়।।ছিলাম যখন শিশু আমিকান্না করি আ-ই দিয়ে;এত মধুর কান্না পুনরায় পাবো কি আমি।।তোমার মত মধুর ভাষাকেহ পাবে না গো এই ধরায়।তোমার তরে দিলা যাঁরা প্রাণওদের সবাইকে শ্রদ্ধের সহিত;জানাই এই অবুঝ জীবনের সালাম।।রাখব তাঁহাদের নাম হৃদয়েকরে যাব ভাষা শহীদ স্টেশন, শিলচরতাঁহাদের নাম।।মাগো তোমার তরে জন্ম আমারআমার মরণ যেন হয়তোঁমার গৌরব রক্ষার্থে।।